মেহেরপুর অফিস: ফেনসিডিল রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মেহেরপুর আদালতে শাহানাজ খাতুন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। একই মামলায় মারফত আলী নামের অপর এক ব্যক্তিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদ- ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদ-াদেশ বিধান রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত শাহনাজ খাতুন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার গরুড়া ভিটাপাড়া গ্রামের মাওলা বক্সের মেয়ে এবং মারফত আলী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঝোড়ঘাট গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত দুজনেই পলাতক রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি গাংনী উপজেলার বামন্দী আইসি ক্যাম্পের এসআই তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বামুন্দী বালিয়াঘাট এলাকা থেকে শাহনাজকে ২৫ বোতল ও মারফতকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ পাওয়ার এক্টের ২৫ বি ২ ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি শাহানাজ খাতুন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদ-ের বিধান রাখা হয়। একই মামলায় মারফত আলীকে ২ বছরের সশ্রম কারাদ- ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদ-াদেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি আটকের দিন থেকে তাদের সাজা শুরু হবে। মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ কৌশলী ছিলেন।