মেহেরপুরে প্রায় ১৪ কোটি টাকার স্ট্যাম্প জালিয়াতি মামলায় সাবেক নাজির জেলহাজতে

মেহেরপুর অফিস: প্রায় ১৪ কোটি টাকার স্ট্যাম্প জালিয়াতি মামলায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির (সাময়িক বরখাস্ত) রফিকুল ইসলামকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক শিরিন নাহার মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য জানান, প্রায় ১৪ কোটি টাকার স্ট্যাম্প জালিয়াতির ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় চলতি বছরের ২১ মে একটি মামলা হয়। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। আসামি পলাতক অবস্থায় উচ্চ আদালতে ৪ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মেহেরপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ জালিয়াতি এবং মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ মে ঢাকা থেকে ডাক বিভাগের সরকারি পিকআপ ভ্যানে ভুয়া চাহিদাপত্রের মাধ্যমে প্রায় ১৪ কোটি টাকার সরকারি স্ট্যাম্প মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের গোডাউনে সংরক্ষণ করা হয়। ডিসি অফিসের নাজির স্ট্যাম্পগুলো গ্রহণ করেন। ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে ওইদিন রাত্রে স্ট্যাম্প বহনকারী ঢাকা জিপিওর নি¤œমান সহকারী (স্ট্যাম্পস) আবুল বাশার দেওয়ান মেহেরপুর সদর থানায় জিডি করেন।
জিডিতে উল্লেখ করেন ডিসি অফিসের নাজির ভুয়া চাহিদাপত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় এসব স্ট্যাম্প এনেছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ৭ মে নাজির রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে স্ট্যাম্প জালিয়াতির ঘটনায় নাজির রফিকুল ইসলামকে আসামি করে ঢাকা জিপিওর নি¤œমান সহকারী (স্ট্যাম্পস) আবুল বাশার দেওয়ান বাদী হয়ে ২১ মে মেহেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

 

Comments (0)
Add Comment