স্টাফ রিপোর্টার: কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের টিকা শেষ হয়ে গেছে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজকে ৫০টি ডোজ থাকলে তা বেলা সাড়ে নয়টার ভেতরে শেষ হয়ে যায়। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মেলেনি টিকা অভিযোগ গ্রহীতাদের। উপজেলার সোনাপুর গ্রামের হাফিজা খাতুন অভিযোগ করেন মোবাইলে মেসেজ পেয়ে তিনি করোনা ভাইরাসের ১ম ডোজ টিকা নেয়ার জন্য সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কিন্তু দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের লোকজন লাইনে না দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে নিজের পরিচিত জনদেরকে আগে টিকা দিয়ে দেয়ার কারণে আমরা সাধারণ মানুষ সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাচ্ছি না। শেষে ১০টার দিকে আমাদের বলল টিকা শেষ আপনারা চলে যান টিকা আসলে আপনাদের জানানো হবে। এ রকম ভাবে মোবাইলে মেসেজ আসার পরও টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। তারা কবে টিকা পাবে তার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না টিকা গ্রহীতারা।
এ বিষয়ে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, টিকা কম থাকার কারণে এ রকম অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনেছি পরবর্তীতে যাতে মেসেজ পাওয়ার পরে আগে আসলে আগে পাবে এই ভিত্তিতে টিকা ওেয়া হবে আর যে সকল টিকা গ্রহীতা টিকা না থাকার কারণে মেসেজ পাওয়ার পরেও টিকা পায়নি তাদের কে পরবর্তীতে টিকা দেয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যে টিকার চাহিদা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশাকরি কয়েক দিনের ভেতরে আমরা ১ম ডোজের টিকা পেয়ে যাব। তিনি আরো জানান গতকাল থেকে আমরা ২য় ডোজের টিকা দিচ্ছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যথাসম্ভব কালকে আমাদের ২য় ডোজের টিকাও শেষ হয়ে যাবে। মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব অনুযায়ী ২য় দফায় মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার ৮ হাজার ৪ শত জন করোনা ভাইরাসের ১ম ডোজ টিকা পেয়েছেন ।
গত ১১ই জুলায় করোনা ভাইরাসের ২য় দফা সিনোর্ফাম এর টিকা দেয়া শুরু হয় ১০ আগস্ট পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনা টিকার ৩ হাজার ভয়েল পেয়েছেন ভয়েল প্রতি ২ জন করে ৬ হাজার জন কে টিকা দেয়া সম্পর্ণ হয়েছে। তাছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকার আওতায় ২ হাজার ৪শত জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। ২য় ডোজে টিকা পেয়েছেন ১শত ভয়েল যা ১০ জন করে ১ হাজার জনকে দেয়া হবে।