মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরে রাতুল হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বোন মাহমুদা মমতাজ মীম ও ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদকে আটক করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে তাদেরকে আটক করে যশোর ডিবি পুলিশ।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, গত ১২ জুলাই উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র এহতেশাম মাহমুদ রাতুলের (১৮) লাশ পার্শ্ববর্তী চৌগাছা থানাধীন লস্করপুর শশ্মান মাঠে পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ। নিহতের পিতা মহিউদ্দীন বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৮(৭)২১। যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের ওপর তদন্তভার ন্যাস্ত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানান, হত্যার সাথে জড়িত নিহতের ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদকে ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় নিহতের মোবাইলফোন, হত্যাকাজে ব্যবহৃত স্কচটেপ, নিহতের পরিহিত ছেড়া বস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদ জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের বোন মাহমুদা মমতাজ মীমের সংশ্লিষ্টতার কথা জানায়। এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পেয়ে ভিকটিমের বোন মাহমুদা মমতাজ মীমকে আটক করে।
জানা যায়, মাহমুদা মমতাজ মীম প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে শিশির আহম্মেদকে বিয়ে করার জন্য ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা মীমের পিতা-মাতা মেনে না নিয়ে শিশিরকে বিভিন্নভাবে অপমান করেন। অপমানের প্রতিশোধ নিতে শিশির ও মীম পরস্পর যোগসাজসে রাতুলকে পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করে।