জীবননগর ব্যুরো: নব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় ভৈরব নদের স্রোতের ধারা ফিরিয়ে আনতে খনন কাজ চলছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে এ কাজ বাস্তবায়ন করছে। জীবননগর উপজেলার ওপর দিয়ে বহমান অংশে খনন কাজ করাকালে নদের মাটি যেনো সোনার হরিণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এ মাটি দখলে নিয়ে বিক্রি করে মোটা অংকের মুনাফা ঘরে তুলতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অসাধু একটি চক্র বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ চক্রের সদস্য ফজলুর রহমান ওরফে ফজলও মনোহরপুর দক্ষিণপাড়া দিয়ে বহমনা ভৈরব নদে এসকেভটর বা ভেকু ভিড়িয়ে নদের মাটি চুরি করে বিক্রি করাকালে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী ভেকু গাড়িসহ ইটভাটার মাটিটানা ১০টি ট্রাক্টর আটক করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত মনোহরপুরের ফজলুর রহমান ওরফে ফজলুসহ তার সঙ্গীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, মনোহরপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ফজলুর রহমান ওরফে ফজলু আওয়ামী লীগের নেতা। ক্ষমতার জোরে তিনি বেপরোয়া। ফজলু পেয়ারাতলার একটি ইটভাটার নিকট মাটি বিক্রি করে। বিক্রিত মাটি তিনি ভৈরব নদ থেকে কেটে দিতে সন্ধ্যা থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। এশার নামাজের পরপরই তিনি নদে এসকেভট বা ভেকু গাড়ি নামিয়ে দেন। গ্রামবাসী বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সংঘবদ্ধ হওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে একসাথে ইটভাটার ১০টি ট্রাক্টর গ্রামের ভেতর দিয়ে ভৈরব নদে পৌঁছুলে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভেকু গাড়িসহ ১০টি ট্রাক্টর আটক করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা শুরু করে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত ফজলু ও তার সঙ্গীদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।