স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা সিদ্দিকীকে (রা.) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনায় পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভারতের বিজেপি হিন্দুত্ববাদী সরকার এবং তাদের নেতৃবৃন্দ প্রায়শই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে মন্তব্য করে এবং মুসলিমদের অপমান-অবমাননা করে কথা বলে থাকে। আমরা তাদের এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পৃথিবীর সকল মুসলিমদের আহ্বান জানায় তারা যেনো ভারতসহ যে রাষ্ট্রই এমন আচরণ করবে তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিশ্ব মুসলিম এক হয়ে তারা যেনো সকল অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা উলামা পরিষদের আয়োজনে বিকেলে শহীদ হাসান চত্বরে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মুফতি জুনাইদ আল হাবীবীর সভাপতিত্বে ও পৌর কমিটির সভাপতি মুফতি আজিজুল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুস্তাফা কামাল কাসেমী, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতি মামুনুর রশীদ মামুন, মুফতি রুহুল আমীন, মুফতি আলী আকবর, মুফতি জাহিদ হাসান মামুম, আবু সুফিয়ান, তুষার ইমরান সরকার, মাও. জহুরুল ইসলাম আজীজী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসান চত্বরে এসে দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাসস্ট্যান্ডের মুক্তমঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মাও. মাহবুবুর রহমান গওহরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ হতে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজিপির বহিস্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালকে অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, উলামা পরিষদরে সহ-সভাপতি হাফেজ মাও. আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি মুফতি শাহ্ জামাল, মাও. সাজেদুর রহমান, মাও. জুবায়ের খান, মাও. কেএম সাইফুল্লাহ ও জীবননগর বাস-ট্রাক ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি কাজি মামুন। প্রতিবাদ সমাবেশ হতে বক্তাগণ বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) আমাদের কলিজার টুকরা। সেই নবীকে কটুক্তি। মুসলিম জাতি কোন দিন মেনে নেবে না। প্রয়োজনে এর জন্য আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত। তারপরও এর প্রতিবাদ আমরা দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত করে যাবো। বকত্তাগণ এর সাথে জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নেয়া হলে বক্তাগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের হুমকি প্রদান করেন।