বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি খোকন ভোটে সাধারণ সম্পাদক শাহাজান 

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জীবননগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জীবননগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ৩টায় আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। প্রধান বক্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, বড় দলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবে। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট চাওয়ার অধিকার আপনার আছে, কোনোপ্রকার প্রতিহিংসা, বাগবিত-া করা যাবে না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের চিহিৃত করে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে, নির্বাচনের পর কেউ কারো প্রতিপক্ষ থাকবে না। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। নির্বাচনী ফলাফল ভুলে গিয়ে সকলে হাতে হাত রেখে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বো। ফলাফল ঘোষণার পর করতালি, উল্লাস ও আনন্দ মিছিল করা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে আপনাদের সেই প্রত্যাশিত কমিটি উপহার দেব। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. এমএম শাহাজান মুকুল, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু, অ্যাড. অহিদুল আলম মানি খন্দকার ও নির্বাচন কমিশনারের সহযোগী সদস্য সেলিমুল হাবীব সেলিম বিদ্যালয়ের একটি গোপন কক্ষে ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন পরিচালনা করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জীবননগর উপজেলা সমন্বয় কমিটি সদস্য শাহাজান আলী ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জীবননগর উপজেলা সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য আবুল হোসেন তোয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আন্দুলবাড়িয়া, রায়পুর হাসাদাহ, সীমান্ত, মনোহরপুর, কেডিকে ও উথলী ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত সুপার ফাইভ কমিটির ৩৫ জন ভোটার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁকা ইউনিয়নকে ভোট প্রদান থেকে বিরত রাখা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. এমএম শাহাজান মুকুল। প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণায় প্রার্থী শাহাজান আলী ২২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হোসেন তোয়া পেয়েছেন মাত্র ১৩। ফলাফল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জীবননগর উপজেলা বিএনপির সুপার ৫ কমিটির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হাজি আনোয়ার হোসেন খান খোকন, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনদ্দিন মঈন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলতাব হোসেন। নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ফুলের মালা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেন নেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপি সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফতুল্লাহ মহলদার, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা কমিটির সদস্য শাহাজান কবীর, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তনু, মহাতাব উদ্দিন চুন্নু, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, এনামুল হক শাহ মুকুল, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোকারম হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন মালিতা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান ঝন্টু, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রিমন হোসেন। এ সময় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে। সূত্র জানায় ২০১৩ সালে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১২ বছর পর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

Comments (0)
Add Comment