স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলিয়ারপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে চুরির করার সময় ১৫ বছরের এক কিশোরকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে প্রবাসীর স্ত্রী রেশমতিকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে ওই কিশোর। পরে ওই গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে কিশোরকে হালকা মারধর করে সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। পুলিশ প্রবাসীর স্ত্রীসহ কিশোরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেয়। পুলিশ ওই কিশোরের কাছ থেকে একটি কাটার (খাতা কাটার জন্য ব্যবহৃত চাকু) উদ্ধার করে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আলিয়ারপুর গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রেশমতি খাতুন বলেন, সন্ধ্যার আগে বাড়ির দরজা নক করে এই কিশোর। এ সময় বাড়িতে আমি ছাড়া কেউ ছিলো না। পরে দরজা খোলার পর জোরপূর্বক আমার আলমারি রাখার ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ভাঙার চেষ্টা করে। আমি ঠেকাতে গেলে তার কাছে থাকা কাটার দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে জখম হয় আমি। পরে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তিনি আরও বলেন, আলিয়ারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার এই কিশোর ফার্নিচারের কাজ করে। কিছুদিন পূর্বে তাকে দিয়ে আমার বাড়ীতে ফার্নিচারের কাজ করায়। এসময় আলমারি থেকে টাকা দেয়ার সময় বিষয়টি সে লক্ষ্য করেছে। এই টাকা চুরি করার উদ্দেশ্যেই এসেছিল।
এদিকে রাত সোয়া ১২ টার দিকে সিন্দুরিয়া ক্যাম্প পুলিশ কিশোরকেসহ জখম গৃহবধূকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর থানায় নেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, ওই নারীর হাত ও কোমরে ধারাল জাতীয় কিছুর আঘাতের জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, এক কিশোর চুরির উদ্দেশে বাড়িতে গেলে বিষয়টি টের পেয়ে যায় প্রবাসীর স্ত্রী। এসময় আত্মরক্ষার্থে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপরে কাটার দিয়ে কয়েকবার আঘাত করলে তিনি জখম হয়। এতে ওই নারী চিৎকারে করলে স্থানীয় এসে কিশোরকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
তিনি আরও বলেন, এখনো কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি। ভুক্তভোগী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।