চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ও নেহালপুর ইউনিয়ন বিভক্ত নিয়ে আইনি জটিলতার অবসান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের পুনঃগঠিত বেগমপুর ও নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা ও জনসংখ্যা বিভাজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা আইনি জটিলতার অবসান ঘটেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও প্রশাসক নিয়োগ না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রশাসক নিয়োগের জোর দাবি জানিয়েছে ইউনিয়নবাসী।
ভৌগলিক ও জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করে চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়ন বিভক্ত করে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়ন এবং পূর্ণরগঠিত বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে গত ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৬৮৬ নং পত্রের নির্দেশক্রমে এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন ২০০৯ এর ১১ ধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৪ জুন ২০১৫ গেজেট প্রাকাশিত হয়। গেজেট প্রকাশের পর সীমানা নির্ধারণ এবং ভোটার বিভাজন নিয়ে উচ্চআদালতে একাধিক রীট করায় বেগমপুর ও নবগঠিত নেহালপুর ইউপি নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ফলে গেজেট প্রকাশের ৯ বছর অতিবাহিত হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে জটিলতা থেকেই যায়। ইউনিয়ন দু’টিতে প্রশাসক নিয়োগ চেয়ে হিজলগাড়ি বাজারের হাজি সুন্নত আলীর ছেলে সাইফুল আজম মিন্টু প্রশাসক নিয়োগ এবং নির্বাচন চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। মহামান্য হাইকোর্টের বিচারক জাফর আহম্মেদ এবং মো. বসির উল্লার যৌথবেঞ্চ বিষয়টি আমলে নিয়ে শুনানী করেন। শুনানী শেষে সীমানা ও জনসংখ্যা বিভাজন নিয়ে করা রিট পিটিশন ভ্যাকেট করে গত ১০ জুলাই ২০২৩ প্রশাসক নিয়োগের আদেশ দেন।
সূত্র জানিয়েছে, আদেশের কপি জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে জমা দেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসক নিয়োগে শুরু হয় গড়িমশি। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে বেগমপুর ও হোলপুর একাধিক সুধী জনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ইউনিয়ন বিভক্ত করে ভালো কথা। তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা ভালো উদ্দেশ্য না। প্রত্যেককেই জনগণের মতামতকে সন্মান জানানো উচিত।
এ ব্যাপারে রিটকারী সাইফুল আজম মিন্টু বলেন, ভৌগলিক অবস্থা এবং জনসংখ্যার কারণে বেগমপুর ইউনিয়ন বিভক্ত হয়। বিভক্তির পর ইচ্ছাকৃত ভাবে আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে রাখে একটি মহল। ইউনিয়নবাসির দাবির প্রেক্ষিতে আমি উচ্চআদালতে রিটের বিরুদ্ধে আপিল করি। উচ্চ আদালতের বিচারক দ্বয় আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং প্রশাসক নিয়োগের আদেশ দেন। যার কপি আমি জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনে জমা দেয়। দু:খজনক হলেও সত্য আদালতের নির্দেশ থাকা স্বত্তেও আজ অবদি প্রশাসক নিয়োগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। অথচ একই সময় করা রীটের প্রেক্ষিতে শংকরচন্দ্র এবং মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ এবং নির্বাচন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে কালক্ষেপন হতে থাকলে জনগন একদিন রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। এব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।