স্টাফ রিপোর্টার: ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তি নির্ভর সাদাছড়ি’ এ শ্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস -২০২২ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় স্থানীয় শিশু একাডেমি মুক্তমঞ্চে আলোচনাসভা ও সাদাছড়ি বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন, টিটিসির অধ্যক্ষ মো. মুছাব্বেরুজ্জামান, প্রবেশন কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন ও শাহ আলম সনি বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন প্রতিবন্ধী আব্দুল করিম ও গীতা পাঠ করেন ফিজিওথেরাপিষ্ট সোমা সরকার। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা মা-বাবা, ভাই-বোন। আমাদের আত্মীয়-স্বজন। তাদেরকে আপন করে নিতে হবে। তারা সমাজের বোঝা নয়, তারা সমাজের সম্পদ। অটিষ্টিক শিশুরা লেখাপড়া করছে। ভালো চাকরি করছে। শুনে ভালো লাগছে। সারাবিশ্বে তাদেরকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বলে। তাদেরকে অবহেলা না করি। আপন করে নিই। অটিষ্টিকদের জন্য অলিম্পিক খেলার আযোজন করা হয়েছে। শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড পায়। আমরা লিবারেল। মোটামুটি হলেই ভাতা দেয়া হয়। যারা আর্থিকভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না, তাদের আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। যারা কানে শুনে না, হুইল চেয়ার লাগে। এটা আল্লাহর একটা পরীক্ষা। কারো ধন-সম্পদ দিয়ে, কারো ধনসম্পদ কেড়ে নিয়ে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ পরকালে আপনাদের প্রতিদান দেবে। অটিষ্টিকদের জন্য আলাদা স্কুল সরকার তেমনটা ভাবছে না। সমাজের মূল¯্রােতের সাথে মিশে থাকবে। শিক্ষকরা আছেন, তারা দেখবেন। সকল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মঙ্গল কামনা করছি। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়ে গেছে। চক্ষু ইন্সটিটিউট, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা করে ভালো হওয়া সম্ভব। কোটা মেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।