জালাল উদ্দিন ওরফে জালাল কবিরাজ। নির্বাচনে দাঁড়ানো যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। তিনিসহ তার পরিবারের সদস্য ১৩ জন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে পেয়েছিলেন ২ ভোট। এবারের নির্বাচনে পেয়েছেন ৩ ভোট। জালাল উদ্দিন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর সুন্দরপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে। রোববার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট। এ নিয়ে ওই ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিলেন জালাল কবিরাজ। ২০১১ সালের নির্বাচনে ১৩৩ ভোট পেয়েছিলেন।
জানা গেছে, প্রার্থীদের মধ্যে হুমায়ুন কবির ফুটবল প্রতীকে ৬৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ৪১০ ভোট এবং মির্জা আব্বাছ টিউবওয়েল প্রতীকে একটি ভোটও পাননি। হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাস করেন জালাল উদ্দিন। তার সংসারে তিন স্ত্রী, চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে তার স্ত্রীরাসহ তিন ছেলে ও ২ মেয়ে ভোটার। জালাল উদ্দিন বলেন, ভোটাররা বোঝেন না বলেই তারা অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। তবে একদিন মানুষের ভুল ভাঙবে।