আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রেল জগন্নাথপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। দেবরের বউয়ের পরকীয়ার কাহিনী জেনে যাওয়ায় তাকে ৩ দেবর মিলে শনিবার দিনগত গভীর রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এমন অভিযোগ তুলে নিহত গৃহবধূর বাবা রোববার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মৃত গৃহবধূর দেবর বেল্টুকে পুলিশ আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আকাম উদ্দীন ওরফে আকালের মেয়ে বিলকিস খাতুনের (২৫) গত ৯-১০ বছর আগে একই গ্রামের রেলজগন্নাথপুর পাড়ার মৃত ইয়ামিন ফরায়জীর ছেলে বড় লাল্টুর সাথে বিয়ে দেয়া হয়। লাল্টু ঢাকায় অবস্থান করে মোজাইক মিস্ত্রির কাজ করেন। বাপ্পী নামের তাদের ৫ বছরের একটা ছেলে আছে।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মৃত গৃহবধূর দেবরের বউ পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। এ কথা জেনে যাবার পর তিনি বিষয়টি পরিবারের সকলকে জানিয়ে দেন। এতে পরিবারের সকলেই গৃহবধূ বিলকিস খাতুনের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লাগে। গত শনিবার গভীর রাতে বিলকিসের বাবা সংবাদ পান যে, তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে তিনি সপরিবারে দ্রুত মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে গিয়ে দেখেন যে মেয়ের লাশ তার বেডের ওপর পড়ে আছে। নাকমুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, গৃহবধূকে তার ৩ দেবর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। মৃত বিলকিসের শিশুপুত্র জানিয়েছে, তার আম্মাকে কাকুরা গলা টিপে মেরেছে।
আলমডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জীত কুমার জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন লাশ বেডে পড়ে আছে। লাশের গলায় জড়ানো ওড়নার এক প্রান্ত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছিলো।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত নারীর পিতা তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত নারীর দেবর বেল্টুকে আটক করা হয়েছে।