স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমাসে ফল উৎসব-১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় জমকালো আয়োজনে ডিসি সাহিত্য মঞ্চ প্রাঙ্গনে এ ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ফল উৎসবের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক পত্নী মেহনাজ খান বাঁধন, পুলিশ সুপার পত্মী ফরিদা ইয়াসমিন, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডায়মন্ড ওর্য়াল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক ইয়াসিন সোহেল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার নূর পেয়া বেগম, নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. মানিক আকবর, শাহ আলম সনি, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ফলে ফসলে সমৃদ্ধ। এই সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রচুর পরিমাণে আম, জাম, কলা, লিচুসহ সকল প্রকার মরসুমি রয়েছে। সকলেই যেনো সব ফলের স্বাদ পায়, নতুন প্রজন্ম যেনো সব ধরনের ফল চেনে সেজন্য আমাদের এই আয়োজন। এখানে আমাদের চারটি উপজেলার উপজেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। আমরা দেখছি, এখানে অনেক ধরনের ফল আছে। আমরা হয়ত অনেকেই নাম শুনেছি, আগে দেখেনি। এমন ফলও আছে। চার কেজি ওজনের আম আছে। নবীন প্রজন্ম অনেক ফল চেনে না। আগে যেমন গ্রামে গ্রামে গাব ফল দেখতাম, এখনকার নবীনরা সবাই এই ফলটি চেনেই না। তিনি আরও বলেন, আমরা এই মেলার মাধ্যমে অনুরোধ করবো, প্রত্যেকে যেন বাড়িতে ফলের গাছ লাগাই। এই দেশি ফল প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ। অনেক রোগের প্রতিষেধক। নিয়মিত মরসুমি ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। আমরা প্রতি বছর এরকম ফল উৎসব করবো। এ সময় জেলা প্রশাসক প্রত্যেককে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এই ফল মেলায় বহু ফলের সাথে আমরা পরিচিত হতে পারছি। এই মধু মেলা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এর মাধ্যমে আমরা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ হবো। নবীনরা দেশি ফলের সাথে পরিচিত হলো। এটি একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ। এই উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায়।
মধু মাসের ফল উৎসবে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার আলাদা আলাদা চারটি স্টলসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি নিয়ে মোট পাঁচটি স্টল ফল উৎসবে অংশ নেয়। একদিকে যেমন ফল উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করছিলো অতিথিগণ, অন্যদিকে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বাজতে থাকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। ফল উৎসবের এক পর্যায়ে সকল অতিথিদের এবং উৎসব আয়োজনে উপস্থিত সকলকে বুফে সিস্টেমে ৭২ প্রকারের ফল খাওয়ানো হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উৎসবমুখর এ আয়োজনে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও উৎসবস্থলে আগত সকল সাধারণ মানুষ মধু মাসের মরসুমি ফল খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। শুধু ফল নয়; মধুমাসের আয়োজন এর সাথে বাড়তি শোভা বৃদ্ধি করে গ্রাম্য বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি এবং মাটন জাতীয় খাবারের আয়োজন।