স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। স্থানীয় ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দ ও সুধী সমাজের সমন্বয়ে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের স্বার্থ দেখেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। অধিক লাভ করে বা বেশি মুনাফার আসায় কৃত্রিম সংকট করে বাজার মূল্য অস্থিতশীল করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিশেষ করে পরিবহন ব্যয়ের অজুহাত দেখিয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি এটা গ্রহন যোগ্য নয়। কারণ দেশে প্রচুর ধান উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া আমার কাছে অভিযোগ আছে সন্তাহে ১দিন করে মাংসের বাজার বন্ধ রাখার কথা। কিন্ত সেটা ব্যবসায়ীগন মানছেন না। এটি মেনে নেয়া হবে না। মত বিনিময় সভায় খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০/- টাকা, বকরী প্রতি কেজি ৭০০/- টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০/-টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর ব্যতয় হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সম্প্রতি ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হওয়ায় সভায় উপস্থিত সকলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে ডিম ও মুরগী ব্যবসায়ীরা বলেন, মুরগীর খাবার ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এনডিসি জাকির হোসেন বলেন, কোথাও কোথাও সারের দাম বৃদ্ধি করে মনগড়া দাম ধরা হচ্ছে। তাই বাজার মনিটরিং খুব প্রয়োজন। এছাড়া গরুর খাবার ভূষির সাথে নিন্মমানের আটা মিশিয়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে! এ বিষয়টিও দেখা প্রয়োজন।