স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের জেলা কারাগারে নেয় পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৩০), সদর জাফরপুরের আসাদুল মীরের ছেলে রশিদ আহমেদ (৪৫), মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন (৪১), গাইদঘাটের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে লাল্টু রহমান (৪০), আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার মৃত মহর আলী বিশ^াসের ছেলে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু (৫৬), আসাননগর গ্রামের শহর আলীর ছেলে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম (৪২), নওদাবন্ডবিল গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩৫), একই গ্রামের মোস্তবার আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬), রমজান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান @ রাজু (৩০), আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার মৃত সানোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে মোখলেসুর রহমান মিলন (৪৫), খাসকররা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে সাফায়েত হোসেন (৩৭), পৌর এলাকার মিয়াপাড়ার মৃত ইসমাঈল হোসেনের ছেলে ইফতেখারুল ইসলাম (২৯), ও শফিকুল আজম ডালিম (৩৭), কয়রাডাঙ্গা গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬), ঘোষবিলা গ্রামের মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে বেনজির আহমেদ স্বপন (৪৫), হারদী গ্রামের মৃত এছেম আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন (৪৫), তিয়রবিলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ওবায়দুর রহমান বেল্টু (৩৩), বলেশ^রপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে সাইফুর রহমান (৪৪), ঠাকপাড়া গ্রামের মৃত ইছাহক আলীর ছেলে ইকতার (৪৫), ভোগাইল বগাদী গ্রামের মৃত শুকুর মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু (৪৩), নান্দবার গ্রামের মৃত ফরিদ ম-লের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫৭)।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভোরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আসাননগর মাঠে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা নাশকতা করার জন্য সংগঠিত হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়। বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় নাশকতার প্রস্তুতির সময় উপস্থিত থাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা আমলি আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ২০২৩ সালের বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার চারজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনপির ও যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা যুবদল। নেতারা বলেন, আগামী ২৬ মে চুয়াডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবি নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে। তার আগে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাসের নাশকতার প্রস্তুতিসহ বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।