কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি : দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামে সাপের কামড়ে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে মাঠপাড়ার নূরানিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল ৮ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনের মৃত্যু হয়। নিহত দুই ছাত্ররা হলেন চন্দ্রবাস ডাক্তার পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৩) এবং একই গ্রামের মাঝের পাড়ার শওকত আলীর ছেলে জুনায়েদ (১২)। তারা দু’জনেই চন্দ্রবাস নূরানিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র। স্থানীয় ও মাদ্রাসাসুত্রে জানাগেছে, রবিবার রাতে মাদ্রাসার ছাত্রদের শয়নকক্ষে বেশ কয়েকজন ঘুমিয়ে ছিলো। মধ্যরাতে শয়নকক্ষে সাপ ঢুকে হেফজ বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ ডান পায়ে ও জুনায়েদের বাম হাতে কামড় দেয়। কিছুক্ষণ পরে জুনায়েদ ও আব্দুল্লাহ বমি করতে থাকলে শয়নকক্ষে থাকা শিক্ষক তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে সাপে কামড় দিয়েছে। সাপের কামড়ের চিহ্ন দেখতে পাই তাদের দুজনে হাতে ও পায়ে। মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদেরকে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তাদেরকে দু’জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার কিছুক্ষন পরই দুজনের মৃত্যু হয়। মাদ্রাসার মুহতামিম হাজি আক্তার ফারুক বলেন, আমরা ধারনা করছি রাতে কোন এক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দিয়েছে তাদের। পরে ভোরের দিকে টের পেলে তাদের চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তারা মুত্যু বরণ করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কেরামত আলী বলেন, জুনায়েদ আমার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে। সে গতকাল রোববার মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। রাতে দুই শিশু দুই স্থানে ঘুমিয়ে ছিল। ঘুমের মধ্যেই সাপে কামড় দিয়েছে। সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, জুনায়েদের বাবা কাঠমিস্ত্রী। দুই ভাই বোনের মধ্যে জুনায়েদ ছোট। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মা পাগল প্রায়। দুজনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। চন্দ্রবাস গ্রামের আরেক ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসায় সর্প দংশনে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।