স্টাফ রিপোর্টার: ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক এ সভার আয়োজন করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বলেন, ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহারে মানুষের শরীরে মারণঘাতি ক্যান্সাররোধে বাসা বাঁধে। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে ধুমপানজনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধুমপান ও তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে ধুমপান নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে কিছুটা বিঘিœত হয়েছিলো। যে সকল দোকানদাররা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে সিগারেট ও তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তাছাড়া পাবলিক প্লেস, স্টেশন, বাসটার্মিনাল ও জনসমাগম স্থানে কেউ ধুমপান করলে সেখানেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আউলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা এডিএম ও আইসিটি আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহারের চিত্র উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা পাস’র নির্বাহী পরিচালক ও এন্টি ট্যোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের সদস্য ইলিয়াস হোসেন, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন।