স্টাফ রিপোর্টার: নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় মিউনিসিপাল গভর্নেন্স এন্ড সার্ভিস প্রজেক্টের (এমজিএসপি) দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে পৌরসভার হলরুমে এ কর্মশালার উদ্বোধন হয়। পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও গ্রুপ ওয়ার্কসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে শেষ হয় কর্মশালা। এতে অংশ নেন এমজিএসপি’র ঢাকাস্থ এলজিইডির কর্মকর্তাসহ পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, টিএলসিসি সদস্য ও নাগরিক সমাজের সদস্যবৃন্দ।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। চারটি গ্রুপের টিম লিডার হিসেবে ছিলেন কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, টিএলসিসি সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক ও ফজলুল হক মালিক লোটন। প্রত্যেক গ্রুপের সদস্যরা পৌর এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের পথ খুঁজে বিভিন্ন সুপারিশমালা তৈরি করেন। পরে সুপারিশগুলো চারজন টিমলিডার কর্মশালায় ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ৪টি গ্রুপের সুপারিশমালার ওপর ভিত্তি করে সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন প্রজেক্ট স্পেশালিস্ট ইঞ্জিনিয়ার আওলাদ হোসেন। কর্মশালায় প্রজেক্টের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আহাম্মেদ আবু জায়েদ অমি, নগর পরিকল্পনাবিদ সাইফুর রহমান রাজন ও সোশ্যাল স্পেশালিস্ট মাহাবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস, সহকার প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার, টিএলসিসি সদস্য সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুন্নাহার কাকুলী, সেলিনা খাতুনসহ পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ।
পৌরসভার নবাগত সচিব রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালার সভাপতি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ি পৌরসভা চলে তার নিজস্ব আয় থেকে। আয়ের প্রধান উৎস হলো পৌর কর। কিন্তু পৌর কর যথাযথভাবে নির্ধারণ ও আদায় করতে গেলে আমি জনগণের ভোট থেকে বঞ্চিত হবো। শুধু আমিই নই, যে জনপ্রতিনিধিই কর আদায়ে গুরুত্ব দেবে সে-ই নাগরিকের কাছে খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমার মতো বিগত দিনের মেয়র ও পৌর চেয়ারম্যানের পক্ষেও নীতিমালা অনুযায়ি পৌর করসহ স্থানীয় আয় প্রয়োজনীয়ভাবে বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই পৌরসভার উন্নয়নসহ সকল কার্যক্রম সচল রাখতে হলে এ ধরনের প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তি ও তা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে এ ধরনের একাধিক প্রজেক্ট আনার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বর্তমান পৌর পরিষদে বেশকয়েকজন শিক্ষিত তরুণ কাউন্সিলর রয়েছেন। তারা সর্বদা আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করলে এসব প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়ন করে পৌরবাসির ভাগ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকার চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা আয়তনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা। প্রায় দু’লাখ মানুষের বাসযোগ্য এ পৌরসভার নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে অর্ন্তভূক্ত হতে যাওয়া এমজিএসপি প্রকল্পের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বিশ্বব্যাংক।