দু’বোনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন : আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামে বাবুরচির কাজ করতে আসা ধর্ষিতা দু’বোনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ধর্ষিতারা ২২ ধারায় এবং গ্রেফতারকৃত আসামি ১৬৪ ধারায় দোষ শিকার করে বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট জবানবন্দী পেশ করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দর্শনা থানাধীন বোয়ালিয়া গ্রামে বাবুর্চির কাজ করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয় আলমডাঙ্গা বড়গাংনী ও দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের কুমারিদহ পাড়ার জনৈক ৩২ ও ৩৫ বছরের দু’বোন। এ ঘটনায় এক বোনের স্বামী বাদী হয়ে মঙ্গলবার দর্শনা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন রইচউদ্দিন ওরফে পুটে বিশ্বাসের ছেলে সুমন (২৬), আলতাব ম-লের ছেলে মিলন (৩৫), মৃত ইছারদ্দিনের ছেলে সাগর (৪০) নেহালপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫) ও অজ্ঞাত একজন। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল, তদন্ত (ওসি) শেখ মাহাবুবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মামলার ২নং আসামি মিলনকে গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার ওসি (তদন্তা) শেখ মাহাবুবুর রহমান বলেন, গতকাল বুধবার ধর্ষিতাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বিজ্ঞা আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাসের নিকট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। একই বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট গ্রেফতারকৃত আসামি মিলন অপরাধ স্বীকার করে বাকি আসামিদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী পেশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবীর জানান, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডাক্তার আকলীমা খাতুনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড গঠন করে ধর্ষিতাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে বোয়ালিয়া গ্রামের সুমন রান্নার কাজ আছে বলে ওই দু’বোনকে ডেকে নেয়। ডেকে নিয়ে মিলনের বাড়িতে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন মঙ্গলবার ধর্ষিতারা দর্শনা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে যে মামলা করা হয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করলে ওই রাতে কি ঘটেছিলো প্রকৃত সত্য জানতে পারবে।

 

Comments (0)
Add Comment