দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুলকে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার মুঠোফোনে হুমকি ধামকি দেয়ার প্রতিবাদে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরি সভায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানজীর ফয়সাল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কজল, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজসহ নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সমাজের দর্শন স্বরুপ। এরা কোনো ব্যাক্তি কিংবা সংগঠনের হতে পারেন না, এরা সকলের। সাংবাদিকদের কোন দল থাকতে পারেন না, পছন্দের দলকে সমর্থন দিতে পারেন, ভালোবাসতে পারেন। সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে জনগণের কল্যণে কাজ করে আসছেন। কাজেই সাংবাদিকদের হত্যা, হুমকি, লাঞ্ছিত শুধু রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ না, একজন ব্যক্তিও যদি করে থাকেন, আর তিনি যত বড়ই ক্ষমতাবান হন না কেন এমন ঘটনা যে বা যারা ঘটাবেন কিংবা জড়িত থাকবেন তাদের সকলকেই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা উচিত। দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতির সঙ্গে ঘটা ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামক স্থানে আদালতের বিচারকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে থাকা বৃহৎ আকারের ১৫ টি মেহগনি গাছ কাটার সংবাদ সংগ্রহ করে ফিরে আসার পর দর্শনা পৌর বিএনপির নেতা নাহারুল ইসলাম মাস্টার সাংবাদিক পিপুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতা অভিযুক্ত নাহারুল ইসলাম মাস্টারের নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।