দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল নাম খারিজে জমি রেজিস্ট্রি করার চেষ্টায় দলিল লেখক বকুল হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার ও বিক্রেতা জহিরুল শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে সাব রেজিস্টার এম নফিয বিন জামান বকুলকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। বিকেলে সাব রেজিট্রি অফিসের অফিস সহকারী আজিজুল হক বাদী হয়ে বিক্রেতা জহিরুলের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। বকুল দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর গ্রামের দেদের মালিতার ছেলে ও দামুড়হুদা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক। বিক্রেতা জহিরুল শেখ একই গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান শেখের ছেলে।
এজাহারসূত্রে জানা গেছে, দর্শনা থানাধীন পরানপুর গ্রামের মৃত মতিয়ার শেখের ছেলে জহিরুল শেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে খারিজ, খাজনা রসিদ ও ডিসিআর করে আসছিলো। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জহিরুল শেখ খোসকবলা দলিল রেজিস্টি করার জন্য নামজারি কেস নং-১৯৯০, খতিয়ান নং-৪২৬৫ এবং ডিসিআর নং-১৫৬৯১ এর আবেদনকারী পরানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল জলিলের নামে জাল খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন করসহ যাবতীয় কাগজপত্রাদি সাব-রেজিস্টারের নিকট উপস্থাপন করে। কাগজপত্রগুলো দেখে সাব রেজিস্টার নফিয বিন যামানের সন্দেহ হলে তিনি কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট প্রেরণ করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কাগজপত্রগুলো যাচাই বাছাই করে দেখে যে সেসমস্ত কাগজপত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
সে বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুদীপ্ত কুমার একটি প্রত্যয়ন প্রদান করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন জহিরুল শেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া দলিলটি সঠিক দলিল করার লক্ষে কাজটি করেছেন তারা জাল দলিল তৈরি চক্রের সক্রীয় সদস্য। যা দ-বিধি আইনের ৪৬৬/৪৬৮/৪৭১ধারায় অপরাধ করেছে। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও সাব রেজিস্টারের পরামর্শে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী আজিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মামলার বাদী দামুড়হুদা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সাব রেজিস্ট্রার স্যার বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে দেখবেন। কোনো মামলা হবে না। তখন তার কাছে সাব রেজিস্টারের মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি বলেন স্যারের সাথে কথা না বলে নম্বর দিতে পারবো না। পরে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বারবার অফিস সহকারী আজিজুর রহমান কে কল দেয়া হলে তিনি আর কলটি রিসিভ করেননি।