দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৪২ বছর পর বিজ্ঞ আদালতের আদেশে দখল বুঝে পাওয়া জমির নির্মাণাধীন দোকান ঘরের দেওয়াল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ঘটনা ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা দশমীপাড়ার ছমির উদ্দিন গঙের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১ একর ৪২ শতক জমি ছিলো। এর মধ্যে ৫১শতক জমি বিক্রি করেন দশমীপাড়ার দিদার ম-লের ছেলে নূর ইসলামের কাছে। একই জমির অংশ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অধিগ্রহণ করে ৩৯ শতক। বাকি ২৩ শতক জমি তার নিজের নামেই ছিলো। ক্রেতা নূর ইসলাম তার ক্রয়কৃত ৫১ শতক জমি বিক্রি করে দেয় দামুড়হুদার বেগোপাড়ার মৃত শাহার আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, বাসস্ট্যান্ডপাড়ার মৃত ইলাহির ছেলে জামশেদ, বুড়ো ও পুড়াপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে নয়ন গংদের কাছে। পরবর্তীতে ক্রয় সুত্রে ৫১ শতক জমির উল্লেখিত মালিকগণ অবৈধভাবে ছমির উদ্দিন গঙের ২৩ শতক জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে নেন। ভুক্তভোগী ছমির উদ্দীনের ওয়ারিশগণ দখলকৃত জমি উদ্ধারে মামলা দায়ের করেন আদালতে। মামলার ৪২ বছর পর মামলায় জয়ী হয় জমির প্রকৃত মালিক পক্ষ। বিজ্ঞ আদালত আইন-কানুন মেনে দামুড়হুদা সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারি জজ খাইরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দেং জারী-০৯/২০২৪ নং মোকদ্দমায় নালিশী সম্পত্তির উপর থেকে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমির প্রকৃত মালিক পক্ষ কে জমির দখল বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ১১ জানুয়ারি দামুড়হুদা সিনিয়র সহকারী জজ খাইরুল ইসলামের আদেশে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে দামুড়হুদা বাসষ্টান্ড পাড়ার মৃত. শাহার আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৬৫), মো: জমশেদ আলী (৬৪)ও তার ছেলে জিহাদ (২৫) ও একই গ্রামের বুড়ো (৪৮) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন দূবৃত্তরা ওই জমিতে নির্মানাধীন দোকান ঘরের দেওয়াল ভেঙে দেয়। এতে ভুক্তভোগীদের প্রায় আনুমানিক ১০লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানাগেছে। উক্ত জমির শরীক দামুড়হুদা খাঁ পাড়ার মতলেব আলীর ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী এম এ করিম, দীর্ঘদিন ধরে আমরা সহ বাকী শরীকগণ মামলা চালিয়ে আসছিলাম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আদালত চলতি মাসের ১১ তারিখে আমাদের শরিকগণদের পক্ষে রায় প্রদান করে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখল বুজিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই জমিতে নির্মাণ কাজ চলমান ছিলো। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা দুবৃত্তরা নির্মাণাধীন দোকান ঘরের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।