কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার আরামডাঙ্গা গ্রামের রোকনুজ্জামান মালিতা দুই সন্তানের জনক (৩৫) ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ গ্রাম আরামডাঙ্গায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। রোকনুজ্জামান কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা গ্রামের মৃত হান্নান মালিতার ছোট ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ঢাকার ধামড়া থানার অন্তর্গত কালামপুর নিজ কর্মস্থল একটি স্পিনিং ফ্যাক্টরিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। কালামপুর পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার সামনে থেকে ধাক্কা দিলে রাস্তার ওপরে সে ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকনুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার সকালের দিকে মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে রোকনুজ্জামানের ভাই কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমার ছোট ভাই প্রায় ৬ বছর ঢাকার একটি স্পিনিং ফ্যাক্টরিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলো। গতকাল রাতে অফিসে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় সামনে থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিয়ে প্রাইভেটকারের চালক গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। সংসারে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এদিকে বেলা ১১টার দিকে আরামডাঙ্গা কবরস্থানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের উপস্থিতে জানাজা শেষে মৃত ব্যক্তির দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। রোকনুজ্জামানের মৃত্যুতে কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।