দর্শনার সাংবাদিক পিপুলকে হত্যার হুমকির জীবননগর প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

জীবননগর ব্যুরো: দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুলকে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম কর্তৃক মোবাইল ফোনে হত্যা হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দায়ি ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জীবননগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ। গতকাল শুক্রবার জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক কাজি সামসুর রহমান চঞ্চল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানান, নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এ জেলার সাংবাদিকরা সামাজিক, রাজনৈনিতক, সাংস্কৃতিকসহ এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে নিঃস্বার্থভাবে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এ সংবাদ পরিবেশনকালে অনেক সময় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিকভাবে সাংবাদিকরা হয়রানীর শিকার হয়ে থাকে। যা কোনভাবেই সাংবাদিক মহল আশা করে না। সাংবাদিকরা স্বাধীন ও মুক্তভাবেই তাদের পেশাদারিত্ব পালন করে চলবে বলে দৃঢ়ভাবে আশা করে। দর্শনার বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলামকে সাংবাদিকরাই নেতা বানিয়েছেন। আর আজ তিনি সেই সাংবাদিকদেরকেই হত্যা করার হুমকি প্রদান করেছে। এহেন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হুমকি দাতাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠালতালা নামক স্থানে মহামান্য আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে থাকা বৃহৎ আকারের ১৫টি মেহগনি গাছ দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের পরিচালক শাহাজাহানগংসহ স্থানীয় ও বাহিরের রাজনৈতিক একটি পক্ষের প্রায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামরা ব্যক্তি জোর পূর্বক কর্তন করে। এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহে যান দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ। এ ঘটনার সূত্র ধরে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাস্টার সাংবাদিক পিপুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হত্যার বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতা অভিযুক্ত নাহারুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।