জীবননগর ব্যুরো: পরিচয়পত্র ও চেম্বারের সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে আরএমপি (ঢাকা), ভিডিআরএমপি (বরিশাল) এবং এফপি জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক। দেদারসে রোগী দেখে দিয়ে আসছিলেন চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র। অথচ এমবিবিএস ডিগ্রিই নেই তার, নেই কোনো আসল সনদও, কাগজপত্র সবই ভুয়া। এভাবে দিনের পর দিন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন আতিকুজ্জামান চঞ্চল (৩৮) নামে এক প্রতারক। অবশেষে ধরা পড়ে তাকে গুণতে হয়েছে লাখ টাকা জরিমানা। গতকাল সোমবার দুপুরে জীবননগর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের গ্রামীণ টাওয়ারে অবস্থিত খন্দকার মেডিকেল হলে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও আরিফুল ইসলাম রাসেল এ জরিমানার নির্দেশ প্রদান করেন। জরিমানার দ-প্রাপ্ত চঞ্চল উপজেলার পুরাতন লক্ষ্মীপুরের পল্লী চিকিৎসক মৃত খন্দকার আয়ুব আলীর ছেলে। ভুয়া চিকিৎসকের পাশাপাশি চঞ্চল নিজেকে সাংবাদিক হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেন, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে আতিকুজ্জামান চঞ্চল জীবননগর শহরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। চিকিৎসা দেওয়ার নামে নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের প্রতারণা করেছেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তার সনদের কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়। পরে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এসএসসি পাস করে দুটি মেডিক্যাল বিষয়ক দুটি প্রশিক্ষণের ওপর ভিত্তি করে তিনি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন ও থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক তার সঙ্গে ছিলেন।