স্টাফ রিপোর্টার: টানা ১৫ দিনের ও বেশি সময় ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছেন মধ্যবয়সী এক নারী। কথা বলতে না পারায় নাম-ঠিকানাও জানা যাচ্ছে না তার। অজ্ঞাত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন বলে ধারণা চিকিৎসকদের।
বয়স আনুমানিক ৩০ কিংবা ৩২ হবে। চেয়ারা অনেকটাই রুগ্ন। অজ্ঞাত পরিচয় এ নারী গড়নে লম্বা, গায়ের রং শ্যামলা। পরনে রয়েছে আকাশী রঙের সালোয়ার কামিজ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে এই নারীকে। কথা বলতে না পারায় নাম-ঠিকানাও জানা যাচ্ছে না তার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। কোথা থেকে এলো কেউ জানে না। সারাদিন হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। কেউ কিছু খেতে দিলেও খায় না। রাতে হাসপাতালের মেঝেতেই ঘুমাই। অজ্ঞাত এই নারীকে নিয়ে কৌতুহল স্থানীয়দের মধ্যে। মানসিক ভারসাম্যহীন এ নারীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সদর হাসপাতালের গেট কিপার নাসিমুল গনি ফিট্টু বলেন, গত ১৫ দিন আগে হঠাৎ হাসপাতালের মেঝেতে তাকে দেখতে পাই। পরিচয় জানতে চাইলে কোনো কথায় বলতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে মানষিক ভারসাম্যহীন। কোনো কিছু খেতে দিলেও খাচ্ছে না। তবে কথা শুনে মনে হচ্ছে তার বাড়ি চট্টগ্রামে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, বেশ কিছু দিন যাবত এই নারী হাসপাতালে অবস্থান করছে। সে কোন কথায় বলতে পারছেনা। মানষিক ভারসাম্যহীন হলেও বেশ গোছানো মনে হচ্ছে। আমরা তার নাম পরিচয় জানা অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন তিনি।