ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় ২৮ জন মারা গেলেন। গত দু’দিনে জেলার ছয় উপজেলায় ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৫৮৪ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসূত্র এ তথ্য জানা গেছে। করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহেশপুর পৌর এলাকার পোস্টঅফিস পাড়ার ইউনুস সিদ্দিকীর ছেলে আবদুল্লাহ আল আপন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আলাইপুর গ্রামের বাবলুল করীম, ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া এলাকার মাসুদুর রহমানের ছেলে ও মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মচারী মোর্শেদ বিন মাসুদ, মহেশপুর উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর কবীর ও হরিণাকু-ু উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামের পান্টু বিশ্বাস।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল হামিদ খান বলেন, বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তারা মারা যান। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিসূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে আবদুল্লাহ আল আপন করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় ভাতিজার বিয়ের বাজার করতে যান। গতকাল শুক্রবার ভোরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারী বাবলুল করীম ঝিনাইদহের অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। ২৬ আগস্ট পাউবোর কর্মচারী মোর্শেদ বিন মাসুদ করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি সেখানে মারা যান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিসূত্রে আরও জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর কবীর ৩১ জুলাই করোনা উপসর্গ নিয়ে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন। ৪ আগস্ট তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তিনি করোনা পজেটিভ উল্লেখ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ঝিনাইদহ করোনা হাসপাতালে মারা যান। হরিণাকু-ু উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য পান্টু বিশ্বাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের করোনা সেলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ পার্থ বিশ্বাস জানান, গত দু’দিনে ঝিনাইদহ জেলায় আরও ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১ হাজার ৫৮৪ জন আক্রান্ত হলেন।