জীবননগর ব্যুরো: অবশেষে কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল মামুনের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ধর্ষিত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে গত ১০ জুলাই দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘ জীবননগর কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল মামুনের কা-, ছাত্রীর সাথে অপকর্ম করে এবারও কী খুঁটির জোরে পার পেয়ে যাবেন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর এ মামলা রুজু করা হলো। প্রভাবশালীদের চাপের কারণে এতো দিন মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল-মামুন (৪৫) মোক্তারপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন। করোনা সংক্রমণে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ ঘোষণা করলে তার প্রাইভেট বাণিজ্যে ধস নামে। সেসময় শিক্ষক আল মামুন অত্যন্ত গোপনে তার গ্রামের ৮ম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্রী ও তারই ছোট বোন ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। এরই মাঝে হঠাৎ শিক্ষকের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র বেড়াতে গেলে সুযোগ বুঝে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ভাত খাওয়ার জন্য ডিম ভাজতে বলেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের রান্না ঘরে ঢুকে ডিম ভাজার কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে স্কুল শিক্ষক আল-মামুন ঘরে ঢুকে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফিরে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত ধর্ষক শিক্ষক প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবার সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের স্মরণাপন্ন হয়েও বিচার না পেয়ে অবশেষে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।