জীবননগর কুলতলায় সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে মাকে তালাক

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার কুলতলা গ্রামে গর্ভের কন্যাসন্তান বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে প্রতিবন্ধী ওই শিশুর মাকে তালাক দিয়েছে পাষন্ড পিতা। মা শান্তনা খাতুন (২০) বর্তমানে প্রতিবন্ধী কন্যাকে নিয়ে পিত্রালয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের হারদা চাঁনপুর গ্রামের দরিদ্র সামসুল আলমের মেয়ে শান্তনা খাতুনের ৪ বছর পূর্বে পাশর্^বর্তী কুলতলা গ্রামের মাঝপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন বাবুর (২৬) সাথে বিয়ে হয়। দেড় বছর পূর্বে মাহিশা নামে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মায়িশা বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন পড়ে। এতে বেঁকে বসে বাবু। ওই সময় তার স্ত্রী শান্তনা খাতুনের নিকট ৬ লাখ টাকা দাবি করেন এবং বলেন টাকা না দিতে পারলে তিনি আর শান্তনাকে নেবে না। স্বামী, শ^শুর আব্দুল হামিদ ও শাশুড়ী ফিরোজা খাতুনের ধারণা শান্তনার কারণে গর্ভের সন্তান প্রতিবন্ধী হয়েছে। আর তাকে সুস্থ করতে যতো টাকা লাগবে সব শান্তনাকে দিতে হবে। শান্তনা তাদেরকে টাকা দিতে না পারার কারণে গত দশ মাস পূর্বে অত্যাচার নির্যাতন করে প্রতিবন্ধী মেয়েসহ শান্তনাকে পিত্রালয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এখন বলছে শান্তনাকে গত চার মাস আগে তালাক দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি অমানবিক ও দুঃখজনক। সন্তান প্রতিবন্ধী হলে তাকে অবহেলা করা অপরাধ। সন্তান প্রতিবন্ধী হলে মাকে তালাক দিতে হবে কেনো? এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি চরম অমানবিক। একজন শিশু প্রতিবন্ধী হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটা সৃষ্টিকর্তার হাতে। সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে স্ত্রীকে তালাক দেয়াটা চরম অপরাধের কাজ। আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আমি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

 

Comments (0)
Add Comment