আলমডাঙ্গা ব্যুরো: নিজেস্ব অর্থায়নে গৃহহীন ৫ পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার সন্তান শহিদুল হক মোল্লা শিপলেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল শুক্রবার ওই গৃহগুলো হস্তান্তর করেন। গৃহহীন পরিবারের হাতে গৃহগুলো হস্তান্তরকালে সংসদ সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিনি একটি উন্নত ও সুন্দর জীবন উপহার দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের একটি বাড়ি পাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। যার ফলে গৃহহীন পরিবারগুলোকে মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাঁই দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় বিশ্বের বুকে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ। তিনি সবাইকে জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। প্রতিটি গৃহ দুই লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকায় ৫টি বাড়ি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মাণ করা হয়। দুই শতক জমিতে টিনশেড আধা-পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। ২ কক্ষ, প্রশস্ত বারান্দা, একটি স্যানেটারি টয়লেট ও একটি রান্নাঘর সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব ডিজাইনের একটি অনন্যসাধারণ গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার সোনাতনপুরের আব্দুল মান্নান, ভোলারদাইড়ের ঠান্ডুর রহমান ও একই গ্রামের মনজিরা খাতুন, পাঁচলিয়ার নায়েব আলী, ডাউকী গ্রামের তোতা মিয়াকে এসব গৃহ প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশের জনপ্রতিনিধি, স্বনামধন্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও আর্থিকভাবে সক্ষমেরা এগিয়ে এসেছেন। আলমডাঙ্গার তেমনই একজন ব্যক্তি শহিদুল হক মোল্লা শিপলেন। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন ৫জন গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিতে। সেই অর্থে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
শহিদুল হক মোল্লা শিপলেন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন এ দেশে কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর এই মহৎ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তার সুযোগ্য কন্যা। প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগের প্রতি সম্মান জানাতে ও নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছি আমি। সামর্থ অনুযায়ী আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫টি গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করেছি। নিজের এলাকা ছাড়াও দেশের অনান্য স্থানেও কিছু গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছি। আমি মনে করি সমাজের প্রতি বিত্তবানদের দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া দরকার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল হক মোল্লার সহোদর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান।