হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা হারদী কুয়াতলা মাঠের মাঝে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ও লাইটের আঘাতে আদ-দ্বীন ফার্মাসিটিক্যাল এমপিও হাফিজুর রহমান আহত হয়েছেন। ১৮ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছিনতাইকারীরা পেছন থেকে এসে প্রথমে ঝালের গুড়া ছিটিয়ে রাস্তার গতিরোধ করে। এসময় কুয়াতলা হারদী মাঠে তাকে বেধড়ক মারপিট করে ফেলে রেখে চলে যায়।
জানাগেছে, উপজেলার কুমারী গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আদদ্বীন ফার্মাসিটিক্যালে এমপিও হিসেবে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি আলমডাঙ্গায় বাসা ভাড়া থাকেন। সোমবার রাত ৯টায় হাটবোয়ালিয়া এলাকার মার্কেটের কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হারদি কুয়াতলা মাঠে পৌঁছুলে ছিনতাইকারীরা ৩জন মোটরসাইকেলে এসে তার পেছন থেকে ঝালের গুড়া ছিটিয়ে তার গতিরোধ করে। হাফিজুর মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। এসময় তার মাথায় মাথায় টর্চলাইট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ছিনতাইকারীরা টাকা ও মোটরসাইকেল নিতে না পেরে রক্তাত্ব অবস্থায় হাফিজুরের ফেলে রেখে চলে যায়। চোখে ঝালের গুড়া পড়ার কারণে কাউকে চিনতে পারিনি। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বৈদ্যনাথপুর ডাক্তার সেলিমের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
হাফিজুর জানান, হাটবোয়ালিয়া বাজার থেকে টাকা কালেকশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার পেছন থেকে ঝালের গুড়া ছিটিয়ে গতিরোধ করে। আমার চোখে ঝালের গুড়া পড়ায় রাস্তায় উপর মোটর সাইকেল নিয়ে পড়ে যায়। প্রথমে আমাকে প্রচুর মারপিট করে। পড়ে আমার মাথায় টচ লাইট জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করলে আমার মাথা ফেটে যায়। ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা টাকা ও মোটরসাইকেল নিতে না পেরে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে কোনরকমে বৈদ্যনাথপুরের সেলিম ডাক্তারের নিকট নিলে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসি। মাথায় ১৪টি সেলাই দেয়া হচ্ছে।