জুড়ানপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসার শিক্ষক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে তিনছাত্রকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে এক ছাত্রের ঠোঁট কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। তিনদিন আগে ওই ছাত্র রক্তাক্ত ঠোঁট নিয়ে বাড়ি গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। জানাজানির বিষয়টি টের পেয়ে রাতের আঁধারে মাদরাসা থেকে সটকে পড়েন অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাঈদ।
জানা গেছে, দামুড়হুদার হাউলী গ্রামের আবু সাঈদ গত ৫/৬ মাস ধরে বিষ্ণুপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। গত ১৫দিন ধরে মাদরাসার তিন ছাত্রকে পাশবিক নির্যাতন করে আসছেন তিনি। নির্যাতনের শিকার তিনজনই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিনদিন আগে বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রবাসীর ছেলে মাদরাসার ছাত্র রক্তাক্ত ঠোঁট নিয়ে বাড়িতে যায়। সে সময় তার মা ঘটনাটি জানতে চাইলে ওই ছাত্র বলে, শিক্ষক প্রত্যেকদিন আমাদেরকে টেনেহিচড়ে নিয়ে যায় এবং আমার মুখে কামড়ে দিয়েছে। নির্যাতনের শিকার অপর এক ছাত্র জানায়, আমরা রাতে পড়া শেষ করে ঘুমায়। ভোরে হুজুর (আবু সাঈদ) আমাদের টানতে টানতে নিয়ে যায়। আমাদের মুখ চাটে, ঠোঁটে কামড়ে দেয়। এর আগে আমি একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের আরেক ছাত্র কাতরাচ্ছে। ও যতো সরে যাচ্ছে স্যার তত ওকে কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে। অন্য এক ছাত্র বলেন, স্যার আমার সাথে এমন অনেকবার করেছে। আমি ভয়ে বলতে পারি নি। স্যার খুব খারাপ। আমার পায়জামা খুলে নিতো। এ ঘটনা জানাজানির পর অভিভাবকরা বলেন, আমাদের ছেলেদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন অন্য ছাত্রের সাথে না ঘটে। ওই শিক্ষক যেন অন্য কোনো মাদরাসায় চাকরি করতে না পারে। আমরা এর বিচার চাই। এলাকাবাসীরা জানায়, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। মাদরাসা কমিটির লোকজন কেনো ওই শিক্ষকের বিচার করলো না। আজ এদের সাথে ঘটেছে কাল অন্য ছেলেদের সাথেও তো ঘটাতে পারে ওই শিক্ষক। শিক্ষক আবু সাঈদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।