স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারা দেশেই শারদীয় দূর্গা উৎসবের আমেজ ফুটে উঠেছে। এবার চুয়াডাঙ্গায় মোট ১০৮ টি ম-পে প্রতিমা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। শাস্ত্রমতে এবার দেবীর বাহন হচ্ছে দোলা বা পালকি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩২টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২২টি ও জীবননগর উপজেলায় ২৩ টি ম-পে প্রতিমা প্রস্তুত করা হয়েছে। এবার মহা ষষ্ঠী আগামী ২১ অক্টোবর, মহা সপ্তমী ২২ অক্টোবর। মহা অষ্টমী ২৩ অক্টোবর, মহা নবমী ২৪ অক্টোবর। বিজয়া দশমী ২৫ অক্টোবর। শাস্ত্রমতে পঞ্জিকা দেখে বলা হয়, দেবীর বাহন কী। ‘রবি চন্দ্রে গজারূঢ়া ঘোটকে শনি ভৌময়ো, গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং, নৌকায়ং বুধবাসরে।’ অর্থাৎ সপ্তমী রোবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন গজ। সপ্তমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবীর বাহন ঘোটক। সপ্তমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর বাহন দোলা বা পালকি। সপ্তমী বুধবার হলে দেবীর বাহন নৌকা। সেই একই ভাবে, বিজয়া দশমী যে বারে পড়বে সেই অনুযায়ী স্থির হয় দেবীর প্রস্থানের বাহন।
শারদীয় উৎসবকে সামনে রেখে বাজারের বিপণীবিতানগুলোতে ভিড় জমে উঠেছে। বিশেষ করে শাড়ি কাপড় ও তৈরি পোশাকের দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রসাধনীর দোকানেও বাড়ছে ভিড়। পাদুকার দোকানেও ক্রেতা সাধারণের পদচারণা বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পুর্জা ম-পসহ শহরের ম-ব মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিদের প্রায় সকলেই অভিন্ন ভাষায় বলেছেন, প্রতিমা তৈরির কাজ ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে করেন শিল্পীরা। কোন প্রতিমা তৈরিতে ওরা ৫০ হাজারও নেন, কোন কোন ক্ষেত্রে তার বেশিও লাগে। তবে সাধারণ ম-বগুলোতে যে প্রতিমা তৈরি করা হয় তাতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পড়ে। আগে প্রতিমার গায়ে রঙের আঁচড় দিতে সময় লাগতো কয়েকদিন। এখন আর অতো সময় লাগে না। স্প্রে দিয়ে রং লাগালে যেনো চোখের পলকেই সব হয়ে যায়।