স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়কে বাস ও অটো চালাচলে সুশৃঙ্খল করার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পথচারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। জেলা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেলবাজার নামক স্থানের দুটি গাছ দ্রুত অপসারণের সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান সড়কের ধারে ট্রাক রাখার কারণে পথচারিদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তেমনই বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুকি। ফলে যতো দ্রুত সম্ভব ট্রাক টার্মিনালে ট্রাক রাখার ব্যবস্থা করতে পৌর মেয়র দ্রুত পদক্ষেপ নিলে সকলে উপকৃত হবে। দামুড়হুদার দলকা বিল সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক চলবে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার চক্রান্ত করলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জীবননগরের কৃষ্ণপুরে সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে কেউ জমি বিক্রি করতে না চাইলে করবে না। সরকার অধিগ্রহণ করছে না। বিভ্রান্ত ছড়ানোর সুযোগ নেই। তাছাড়া জমি জোর করে নেয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনই কোন স্থাপনা ভাংচুর করে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ারও এখতিয়ার কারো নেই। সর্বক্ষেত্রে আইন অবশ্যই আইনের গতিতে চলবে। কোন প্রকার হটকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সভায় গত সভার কার্যবিবরণি সবিস্তারে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান। উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা উপ পরিচালক সরিয়ত উল্লাহসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধানগনদের মধ্যে অনেকে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলা অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে বলে মন্তব্য করে অনেকেই বলেন, ঈদের আগে সড়কে ডাকাতর ঘটনা আমাদের হতবাক করেছে। মামলা হয়েছে। যতো দ্রুত আসামিদের ধরে আইনে সোপর্দ করা সম্ভব হবে ততোই মঙ্গল। আলমডাঙ্গায় এক কিশোরী ধর্ষণের মামলা ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায়। বাল্য বিয়ে রোধে কিছু কাজীকে বিশেষভাবে সতর্ক করার আহ্বান জানানো হলে জেলা প্রশাসক বলেন, সকল কাজিকে নিয়ে একটি সেমিনার করার বিষয়টি আমাদের কর্মসূচির মধ্যে নিতে হবে।
সর্বশেষে পবিত্র ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করতে পারায় এবং উশৃঙ্খল ছেলে মেয়েদের থানায় নিয়ে সকর্ত করার কাজে যথযথ পদক্ষেপ নেয়ায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সভা থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।