গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বাটিকাডাঙ্গায় নির্জন মাঠের মাঝে ৫ কাঠা জমিতে গাঁজার চাষ করেছিলেন গিয়াস উদ্দিন ওরফে মন্টা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৃষক সেজে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন তিতুদহ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম ও টু-আইসি হারুন অর রশিদ এবং কুদ্দুস আলী। এ সময় ৪টি গাঁজার গাছসহ মন্টার বাড়ী থেকে ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার শেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্যাম্প সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের মৃত নবীছদ্দির ছেলে গিয়াস উদ্দিন ওরফে মন্টা গ্রাম থেকে দূরে মাঠের মাঝখানে একটি কুঁড়ে ঘরে থাকতেন। সেখানে বাটিকাডাঙ্গার তোফাজ্জেল হোসেনের ৫ কাঠা জমি বন্ধক নিয়ে চারিদিকে তারের বেড়া দিয়ে ঘাসের মাঝে গোপনে দীর্ঘদিন গাঁজার চাষ করে আসছিলেন। মাঠটি নির্জন হবার কারনে তেমন কারো চোখে পড়তো না।
গতকাল সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৃষকের ছদ্মবেশ ধরে স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম, এএসআই হারুন অর রশিদ ও কুদ্দুস আলী মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তার বাড়িতে তল্লাশি করে ৪ কেজি গাঁজাসহ ৪টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে উদ্ধারকৃত মালামালসহ তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
এদিকে গ্রামবাসী জানান, পাগলের বেশ ধরে অনেক দিন ধরেই মাঠের মধ্যে বাস করে আসছিলেন মন্টা। হাঁস- মুরগী, ছাগল পালনের পাশাপাশি তিনি গাঁজার চাষ করতেন তা অনেকেই জানতো না। কারন ওই জায়গাটা কবরস্থানের পাশে নির্জন হওয়ায় মানুষের চলাচল কম। এর আগেও পুলিশ একাধিকবার তাকে ধরে নিয়ে শাস্তি দিয়েছে।
এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ক্যাম্প এরিয়ায় কোনো মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। তাদের সমূলে উৎপাটন করা হবে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি এইচএম লুৎফুল কবীর জানান, মাদক দেশ ও সমাজের অভিশাপ। মাদককারবারীদের কোন ছাড় নেই। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদকের বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স।