স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য বিভাগীয় শীর্ষ কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলা এবং উদ্যোগের অভাবে সরকারের ভালো কাজগুলো সাধারণ জনগণ জানতে পারছে না। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গায়। স্কুল-কলেজের ৭১ হাজার ৬০০ ছাত্রীর জন্য কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় আয়রন ফলিক এসিড (আইএফএ) ট্যাবলেট খাওয়ান কর্মসূচি চললেও জানে না শিক্ষক- অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের কৌশরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় মোট ১৪১ টি বিদ্যালয় ও ১৯টি কলেজের ছাত্রী সংখ্যা ৭১ হাজার ৬০০ জন। ফলিক এসিড ৭১ হাজার ৬০০ এর বিপরীতে সবই পাওয়া গেছে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহে বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ৩৪ টি বিদ্যালয় ও ৬টি কলেজের ছাত্রী সংখ্যা ১৮ হাজার। আলমডাঙ্গা উপজেলায ৫০ টি বিদ্যালয় ও ৫টি কলেজে ছাত্রীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৬০০। দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৪ টি বিদ্যালয ও ৪টি কলেজে ছাত্রীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৮০০। জীবননগর উপজেলায় ২৩ বিদ্যালয় ও ৪টি কলেজে ৮ হাজার ২০০ ছাত্রী রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে ছাত্রীদের জন্য ২ প্যাকেট ট্যাবলেট দিয়েছে। ছাত্রীদের খাওয়ানো হয়নি। স্কুলে সংরক্ষণ আছে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মালাকার বলেন, বেশকিছুদিন আগে ট্যাবলেট পেয়েছি। নির্দেশনা না আসায় ছাত্রীদের খাওয়ানো হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান বলেন, ১০ দিন আগে ট্যাবলেট পেয়েছি। সংরক্ষণে আছে। চিঠিপত্র দেয়নি যেকারণে খাওয়ানো হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতাউর রহমান বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম পর্যায়ে ৭১ হাজার ৬০০ আয়রন ফলিক এসিড চার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, গত ৭ অক্টোবর ৭১ হাজার ৬০০ ছাত্রীর জন্য বাৎসরিক চাহিদা ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ এবং ত্রৈমাসিক চাহিদা ৯৩ হাজার ৮০০ ।