স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রোগীদের জন্য পাঁচটি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসানের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এ পাঁচটি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলার মধ্যে দুটি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগর, দুটি মোল্লা মটরসের মালিক শহিদুল হক মোল্লা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে একটি করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য দিয়েছেন। এর আগে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনটি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা চালু রয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আরাফাত সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যের ভাই দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, মোল্লা মটরসের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম, ডা. তরিকুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র-১ সুলতানা আঞ্জু রতœা, এনডিসি সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন এবং সাংবাদিক অ্যাড. রফিকুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, করোনা ওয়ার্ডে যেসকল রোগী ভর্তি আছে সে সকল রোগী শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছেন ওসব রোগীদের জন্য হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা ব্যবহার করা হবে। এর ফলে রোগীরা উপকৃত হবে। এই পাঁচটি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা অর্থাৎ মোট ৮টি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা মেশিন হবে। এই মেশিন দিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতে পারবে। ২টি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা অতিদ্রুত হবে। যতোদিন না পাওয়া যাচ্ছে, ততোদিন হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা দিয়ে শ্বাসকষ্ট রোগীদের সেবা দিতে পারবে। স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাভাবিক রোগীর অতিরিক্ত রোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এটা একটা বিশাল কাজ। সমস্যার এ যাত্রা কবে শেষ হবে আমরা জানি না। মানুষকে ঘরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সোমবার ৩০৭ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষা পরীক্ষা করে ৯৯ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। আমরা নিচের দিকে যাচ্ছি। টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনামূল্যে টেস্ট করা হবে। করোনা ওয়ার্ডে ইয়োলো জোনে খাবার দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মানবিক কাজে সহযোগিতা করে তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান বলেন, সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে ১৫০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা ইউনিট চালু রয়েছে। প্রয়োজনে ইমার্জেন্সি ছাড়া অন্য কোনো রোগী ভর্তি করা হবে না। অক্সিজেনের ট্যাংকি বসানো হয়েছে। অক্সিজেন লেভেল সাধারণ মানুষের ৯৫ ভাগ থাকার কথা। কিন্ত রোগীদের ৩০ পর্যন্ত চলে আসে। এই মেশিন দিয়ে অক্সিজেন লেভেল বাড়ানো হবে। মেশিন দিয়ে আইসিইউ এর সুবিধা দেয়া যাবে।