চুয়াডাঙ্গায় নামাজে এসে ইজিবাইক হারিয়ে কাঁদছেন বিল্লাল

 

স্টাফ রিপোর্টার: অন্যের ইজিবাইক ভাড়াই চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন বিল্লাল হোসেন (২৯)। তার উপার্জনেই কোনোরকম টেনেটুনে চলে ৪ সদস্যের পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরে জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদের সামনে ইজিবাইকটি রেখে যোহরের নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে দেখেন নির্ধারিত স্থানে ইজিবাইকটি নেই। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। চারিদিকে খোঁজাখুজির পরও ইজিবাইক না পেয়ে নির্বাক হয়ে পড়েন তিনি। বিল্লাহ হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রামের হাসপাতালপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে। তার দুই ছেলে মেয়ে। বিল্লাল হোসেন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড়ে একজন যাত্রী নামিয়ে জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদের সামনে ইজিবাইকটি রেখে যোহরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে এসে দেখি ইজিবাইকটি নেই। ইজিবাইকটি হারিয়ে এখন আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এখন ইজিবাইক মালিকের নিকট মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’ অন্যের ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যা উপার্জন হয় তাই দিয়েই সংসার টেনেটুনে চলে যায়। ছোটাছুটি করে রোজায় থেকে আমি কথা বলতে পারছি না। আপনারা একটা কিছু করে দেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মসজিদের পাশে মুদি ব্যবসায়ী রুস্তম আলী (বুদো) দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, বিল্লাল হোসেন মসজিদের সামনে ইজিবাইক রেখে নামাজ আদায় করতে যান। এসময় ইজিবাইকটি চুরি হয়ে যায়। ইজিবাইকটি না পেয়ে তিনি কান্নাকাটি করছেন। আমরাও অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি। বিল্লাল হোসেন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে সেখান থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার নিকট থেকেই শুনলাম। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।

Comments (0)
Add Comment