স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আশাবুল হক আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। রাতেই উভয়পক্ষ সদর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে বলে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জিহাদ খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে মেশিনের কিছু যন্ত্রাংশ সংকট থাকায় তার নিকটে আসা রোগীদেরকে মাঝেমধ্যেই পাশের ডিজিটাল বাংলা এক্স-রে এন্ড ইসিজি প্রতিষ্ঠানে এক্স-রে করিয়ে নিতো। পরে রাতে বিল পরিশোধ করতো মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আশাবুল হক। গতকাল রাতে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক রোগীর এক্স-রে বকেয়া বিল নিতে আসে ডিজিটাল বাংলা এক্স-রে এন্ড ইসিজি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি সিদ্দীক। নামাজের সময় হওয়ায় আশাবুল হক পরে আসতে বলে সিদ্দীককে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে সিদ্দীককে ধাক্কা ও চড় থাপ্পড় দিয়ে আশাবুল হক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ইশার নামাজ পড়তে যান। এ সময় সিদ্দীক ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিমকে জানালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আহত বৃদ্ধ আশাবুল হক বলেন, সারাদিনে রোগীদের টেস্ট বাবদ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে কমিশন ভাগাভাগি করছিলো। আমি নামাজ পড়তে যাবো বলে তাদেরকে বের হতে বলি। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিদ্দীককে সামান্য ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নামাজে যাই আমি। নামাজ শেষে আমার প্রতিষ্ঠানের পাশেই বাড়ির দ্বিতীয়তলার বেলকুনিতে বসে ছিলাম। এসময় ডিজিটাল বাংলা এক্স-রে এন্ড ইসিজি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী রেজাউল করিম, কর্মচারী সিদ্দীক, নাজমুল সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন আমাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে একটি কাচের বোতলে আমার মাথা ফেটে যায়। পরে আমার বাড়ির মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে আমি চিকিৎসা নিয়েছি। আমার মাথায় ৩ টা সেলাই হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে ডিজিটাল বাংলা এক্স-রে এন্ড ইসিজি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম, কর্মচারী সিদ্দীক ও নাজমুলয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে একপক্ষের আশাবুল হক নামে একজন বৃদ্ধ জখম হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রগণ করা হবে বলে জানান তিনি।