স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার বলেছেন, সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো নিখরচায় মামলা পরিচালনার জন্য লিগ্যাল এইড সহায়তা নিয়ে থাকেন। দীর্ঘসূত্র তার কারণে এসব বিচার প্রার্থীরা যাতে হতাশ না হন, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি। এজন্য দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ আইনগত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ভোগ কমাতে লিগ্যাল এইড কমিটিকে উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, উপকারভোগীরাই মূল প্রচারক। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির মাসিকসভায় সভাপতির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জিয়া হায়দার এ সময় বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম খুবই আশাব্যঞ্জক। সেবার দিক দিয়ে সারাদেশের মধ্যে দশম অবস্থানে আছে। মানুষ যেনো বিমুখ না হয়ে না যায়, সেজন্য হাসিমুখে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেবার মানোন্নয়নে প্যানেল আইনজীবীদেরকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠক এবং তালিকা ধরে ধরে মামলার সার্বিক বিষয় তদারকি করতে হবে। অধিক মানুষের সেবা দিতে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে। ‘
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. শামসুজ্জামান সভার শুরুতে পাওয়ার পয়েন্টে বিগত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন। এছাড়া লিগ্যাল এইড বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। এসময় জানানো হয়, গত ১৫ জুন থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইনী সেবার জন্য ৯০ আবেদন এসেছে। মামলা পরিচালনার জন্য যা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুসরাত জেরীন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, ইসলামিক ফাউ-েশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র উজ্জ্বল হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা (রোগনিয়ন্ত্রণ) আওলিয়ার রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, ওয়ান স্টপক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়কারী ইলি সুলতানা, কালের কন্ঠের সাংবাদিক মানিক আকবর, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনি ও জেলা লোকমোর্চার সচিব কানিজ সুলতানাসহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সদস্যদের পক্ষ থেকে এ সময় জানানো হয়, লিগ্যাল এইডের সেবা নিয়ে মুঠোফোন নম্বরসহ স্টীকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগাতে হবে। স্থানীয় সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে হবে। উপকারভোগীদের নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করে তা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সারা জেলায় প্রচার করতে হবে। প্যানেল আইনজীবীরা যাতে আরও আন্তরিক হন সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।