স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুয়াডাঙ্গায় খোলা বাজারে খাবার অনুপযোগী নিন্ম মানের চাল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে শহরের বেশ কয়েকটি ওএমএস কেন্দ্রে এ চাল বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। কম দামে ভালো মানের চাল পাওয়া যায় বলে দরিদ্র মানুষেরা খোলা বাজারের কেন্দ্রগুলোতে চাল আটা কিনতে ভীড় জমায়। তবে বর্তমানে যে চাল সরাবরাহ করা হচ্ছে তা খুবই নিন্মমানের। যেগুলো পশু-পাখির খাদ্য হিসাবে বাজারে বিক্রি হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গোরস্থান পাড়ার আনোয়ার হোসেন দরজীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অভাবের সংসারে ৩/৪ দিন পর খোলা বাজার থেকে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল কেনেন। চাল কিনতে হলে কমপক্ষে দুই ঘন্টা লাইনে দাড়াতে হয়। তারপর সেই কাক্ষিত চাল মেলে। তবে গত দুই টিপের চাল খুব বাজে বলে জানান আনোয়ার। তিনি বলেন, গমপট্রিতে ওএমএস ডিলার আমজেদ। তার কাছ যারাই চাল কিনেছে তাদের চালই খাবার
অনুপযোগী হয়েছে। চালের মধ্যে ছোট ছোট পোকা, ভাঙ্গা ও কালো বর্ণের। এ চাল দিয়ে ভাত রান্না করে খাওয়া যায় না। নিন্ম মানের চাল দেওয়ার সাথে খাদ্য অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা ও ওএমএস ডিলাররা জড়িত। তারা ভালো চাল পাচার করে নিন্ম মানের চাল গোডাউনে রেখে দেয়।
ওএমএস ডিলার আমজাদ হোসেন জানান, কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান এলসির চাল সরবরাহ করা হতো। সেই চালগুলো বেশ সুন্দর ছিল। বর্তমানে লোকাল চাল দেয়া হচ্ছে এবং তা এক বছরের পুরাতন। ঝিনাইদহ বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার আরেক ওএমএস ডিলার ডিপন জানায়, চালের মান খুব খারাপ নই। তিনি উল্টো ক্রেতাদের দুষলেন। বললেন, ভালো চাল হলেই তারা বাইরে বিক্রি করে দেন।
চুয়াডাঙ্গা খাদ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ৯ জন ওএমএস ডিলার রয়েছে। প্রতিটি ডিলার দৈনিক ৫৫০ কেজি চাল ও ৫৫০ কেজি আটা বিক্রি করেন। যার মূল্য চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা। সপ্তাহে ৬ দিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এ চাল-আটা বিক্রি করা হয়।