চুয়াডাঙ্গায় আরও ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে ১১জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগে এ প্রতিবেদন আসে। শনাক্ত ১১ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চারজন, দামুড়হুদা উপজেলায় চারজন ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় তিনজন শনাক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, তিনি জানান, সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। এর মধ্যে ১১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। শনাক্ত ১১ জনের মধ্যে সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ। সদরের চারজনের মধ্যে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন সদর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মী আছেন। এনিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩ জনে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন ও দুজন সুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে বাড়ি ফিরেছেন। নতুন শনাক্ত ১১ জনকে আইসোলেশনে রাখা হবে।

তিনি আরও জানান, আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমিত জেলা ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসা ১৪ জন হাসপাতাল আইসোলেশনে, ২৬ জনকে হোম আইসোলেশনে, ৪৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ১৭জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ইতালি ফেরত এক যুবক।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলায় আরও ৪জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দমুড়হুদা উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭জনে। নতুন আক্রান্তরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তিনজন ও নাপিতখালি গ্রামের একজন। এদের বয়স (৩০) থেকে (৫০) বছরের মধ্যে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরা সকলেই নারী ও ঢাকা ইয়ারপোর্ট এলাকা থেকে এসেছে। গতকালই দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ও  উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এদের বাড়িসহ আশপাশের ৬টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, গত মঙ্গলবার ১২ মে ঢাকা থেকে ৪ জন নারী বাড়ি আসার সংবাদ পেয়ে তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। ওই দিনই তাদের ৪জনসহ ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর জাতীয়  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় ল্যাবে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে আসা ৪জন নারীর রির্পোট পজেটিভ ও বাকি ৯ জনের নেগেটিভ আসে। এর আগে ৬ মে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ থেকে দামুড়হুদার নিজ বাড়ি কলাবাড়ী গ্রামে ফিরে আসা ব্যক্তি (৫০) আক্রান্ত হয়। এরপর ৯ মে তার স্ত্রী ও দামুড়হুদার দুধপাতিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রভ্ইাডার এর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তিনি আরো জানান, নতুন আক্রান্ত ৪জন তাদের নিজ বাড়িতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে বর্তমানে তাদের অবস্থা ভালো।

 

Comments (0)
Add Comment