বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার নুরুল্লাপুর সরকারি বিলের পাড়ে অবস্থিত ফলন্ত কলার কাঁদি রাতের আঁধারে চুরির হিড়িক পড়েগেছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এ নিয়ে ছোটআড়িয়া, নুরুল্লাপুর ও ঝাঝরি গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি একে অপরকে কলা চুরির সাথে জড়িত বলে দোষারোপ করছে। তবে তিতুদহ ভূমি অফিস আজ সোমবার বিষয়টির সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট আড়িয়া ও নুরুল্লাপুর গ্রামের নিচে সরকারি ৪২ একরের খাস জমিতে একটি সরকারি বিল অবস্থিত। যেটি নুরুল্লাপুর বিল নামে পরিচিত। গত অর্থবছরে এ বিলটি ২৬ লাখ টাকায় ইজারাদার নিয়ে মাছ চাষ করে বেগমপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি। সে সময় এ বিলের পশ্চিপাড়ে প্রায় এক হাজারের ওপর কলাগাছ লাগায় সমিতির লোকজন। যার মেয়াদ গত ৩০ চৈত্র শেষ হয়ে যায়। লীজের মেয়াদ শেষ হলেও কলাগাছের কলা পুষ্ট হয়নি। বিধায় অপুষ্ট কলাগাছ রেখেই লীজের শর্তানুযায়ী বিলের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের নিকট হস্থান্তর করে সমিতির লোকজন। ফলে বিলটি খাসহবার পাশাপাশি কলাগাছগুলোও সরকারি হয়ে যায়। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কলাগাছগুলো সে সময় সমিতির নিকট থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তিতে কিনে নেয় আমিনুল ইসলাম মিন্টু ও মঙ্গল নামের দুই ব্যক্তি। লীজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কলাগাছ কেনার চুক্তি মানতে নারাজ ছোট আড়িয়া, নুরুল্লাপুর ও ঝাঝরি গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। ফলে সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে যে যারমতো করে কলা চুরি করতে থাকে। একপক্ষ পাহারা দেয় তো আর একপক্ষ চুরি করে। এনিয়ে ছোট আড়িয়া, নুরুল্লাপুর ও ঝাঝরি গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে। একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে একটি পক্ষ ৫৮ কাঁদি কলা কেটে আলমসাধুতে করে নিয়ে যাবার সময় অপর পক্ষ ধরে ফেলে। পরেরদিন সকালে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয় উভয়পক্ষ। শনিবার রাতে কে বা কারা আবারও ৭০ কাঁদি কলা গাছে থাকা অবস্থায় কেটে তছরুপ করে। যা বিক্রি যোগ্য নয়। বর্তমানে বিলের পাড়ে এখনও ৫ শতাধিক কলাগাছে কলা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ বলেন, বিল বাওড়ের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দপ্তরের। তারপরও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিতুদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, আজ সোমবার উপজেলা অফিসের সাথে পরামর্শক্রমে স্থানীয় ভাবে সরকারি সম্পদ বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সরকারি সম্পদ চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটায় দাবি সচেতন মহলের।