গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসচ্ছল মানুষের কাছে কম দরে ওএমএসের (খোলাবাজারে বিক্রয় বা ওপেন মার্কেট সেল) চাল বিক্রি করছে সরকার। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি। এর আওতায় দেশের নিবন্ধিত দরিদ্র জনগোষ্ঠির ৫০ লাখ পরিবারকে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ নীতিমালা, ২০১৬’ অনুযায়ী ‘খাদ্যবান্ধব’ কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র জনসংখ্যার মধ্য থেকে কর্মাভাবকালীন মানুষের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এ চালের ওএমএস ডিলারের চালের বস্তায় ওজন কমের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে। গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যাগ অফিসার তারিফ-উজ্জামান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সচিব সরেজমিনে চালের বস্তা ওজন পরিমাপ করে বস্তায় সর্বোচ্চ ৩ কেজি কম দেখা যায়। তবে একেক বস্তায় ওজন ভিন্ন। কোনো বস্তায় ১ ও ২ কেজি, কিছু বস্তায় ৫শ গ্রাম করে কম দেখা যায়। তবে কিছু কিছু বস্তায় চালের পরিমান আবার ৩০ কেজির বেশি ১/২শ গ্রাম দেখা যায়। গতকাল ৬৩৬ বস্তা চালের মধ্যে ৩৬ বস্তা চাল বিতরণের পরে সরেজমিনে অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি স্কেল ভিড়িয়ে ওজন করলেও কম পাওয়া যায়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ট্যাগ অফিসার চাল বিতরণ বন্ধ করে গোডাউনে তালা মেরে স্থানীয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের জিম্মায় রেখে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাফিজুর রহমান, ট্যাগ অফিসার তারিফ-উজ্জামান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস আলি। দুপুরের পর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহিদুল হক ঘটনাস্থলে এসে দেখে ডিলারের মালিক বসন্ত কুমার সরকারকে গ্রাহকদের ৩০ কেজি চাল পরিপূর্ণ করে দেয়া অব্যাহত রাখেন। তিনি আরো জানান পরিমাণের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ডিলারের মালিক বসন্ত কুমার সরকার জানান, মূলত স্কেল করে না নিয়ে আসাটাই আমার ভুল। কোনো বস্তায় কম, আবার কোনো বস্তায় বেশি রয়েছে। তবে উপকারভোগীদের কারো কম দেয়া হয়নি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের দেয়া খোলা বাজারের চাল বিতরণে কমের প্রমাণ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।