আনোয়ার হোসেন: আম বাংলাদেশের জাতীয় ফল না হলেও আম আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। রসালো ফল আম কাঁচা অথবা পাকা তা সবার পছন্দের। মাঘ আর বসন্তের আগমনীতে আমের মুকুলের দেখা মেলে গাছের শাখায় শাখায়। গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল। তবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তোলে। মুকুলের পরাগ রেনুকে ঘিরে মৌমাছিরা ভিড় করছে আম গাছের ডালে ডালে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা আমের ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন। গতবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট আম বাগানের পরিমাণ ছিলো ১৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি স¤প্রসরণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্না বলেন, এ বছরেই আমবাগানের পরিমাণ চুয়াডাঙ্গায় ৪শ ৮৪ হেক্টর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪শ ৩৪ হেক্টর। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭৪২ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭৯৫ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, ও জীবননগর উপজেলায় ৬১২ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। ফলে দিন দিন চুয়াডাঙ্গায় আমবাগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু যে আবাদি জমিতে আমবাগান গড়ে তোলা হচ্ছে তাও নয়। বাড়ি আঙিনাসহ যেসব স্থান এমনিতেই পড়ে থাকে সেসব জমিতেও আমগাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। আমাদের দেশে বেশকিছু আমের জাত রয়েছে যেমন, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙ্গা, হিমসাগর, ফজলি, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি ও আশ্বিনা। চুয়াডাঙ্গাতে ল্যাংড়া, আমরূপালি, ফোজলি, হিমসাগর, বোম্বাই, ও আশ্বিনে আম বেশি পাওয়া যায়।