বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর-উথলী সড়কের ফুলতলা নামকস্থানে পাউয়ারটিলারকে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে সজোরে ধাক্কা লেগে গুরুত্বর আহত হয় রাতুল ও তাউছিফ। মাথায় আঘাত বেশি লাগায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নাটোরে পৌঁছুলে তার মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
পারিবারিকসূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি ঝন্টু শেখের ছেলে রাতুল শেখ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্ধু একই মহল্লার মশিউর রহমানের ছেলে তাউছিফকে সাথে নিয়ে অপর বন্ধু সাব্বিরের মোটরসাইকেল নিয়ে উথলীতে জনৈক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর-উথলী সড়কের ফুলতলায় পাউয়ারটিলারকে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রাতুল। মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে হেকমতের দোকানের সামনের পল্লীবিদ্যুতের খুটির সাথে সজোরে ধাক্কামারে। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যায় তারা। এতে রাতুল (১৬) ও তাউছিফ (১৫) আহত হয়। আহত তাউছিফ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও রাতুলেকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হান্নাতুল ফেরদৌস উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রাতুলের চাচা বলেন, রাজশাহী নেবার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাটরে পৌছুলে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাতুলের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছুলে পরিবার জুড়ে নেমে আসে শোকের মাতম। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না ওঠাই গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নামাজে জানাযা শেষে গ্রাম্যকবরস্থানে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়।