স্টাফ রিপোর্টার: ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রায় প্রতিটি পদেই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে এবং দিচ্ছে, তেমনই চমৎকার পরিবেশ গড়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইফতার মাহফিলে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের শাহাদত বরণকারী সকল সদস্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সকল প্রয়াত সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে।’
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগার টগর এমপি উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপির দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার হিসেবে জাহিদুল ইসলাম পিপিএম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জেলার আইনশৃঙ্খলার ক্রমোন্নয়ন হয়েছে বলেই পরপর তিন বার তিনি খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের রুচিশীলতারও বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
ইফতার মাহফিরের স্থান শুধু আলোকসজ্জাই করা হয়নি, ইফতারির মেনুও রাখা হয় টেবিলে টেবিলে টেবিলে। বহু পদের ফল ফলাদিতে ভরপুর ইফতারির আয়োজনের পাশেই করা হয় নামাজের স্থান। সেটিও অনেকটা মসজিদেরই আদলে। নামাজ শেষে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়। ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম পিপিএম উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ জেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। নিরলসভাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সর্বস্তরের সচেতন মহলের সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে। আমরা সব সময়ই প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা মোতাবেক জনগণের বন্ধু হয়ে সেবা করে যাচ্ছি। আজ আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল শাহাদত বরণকারী এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রয়াত সকল সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ দেশ ও জাতির উন্নয়নে বিশেষ আয়োজন করতে পেরে ধন্য। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের বিশেষ উদ্যোগে এবং তারই পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণসহ সকল থানা ও ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন।