গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর খাসমহল গ্রামে সরকারি পুকুর পুর্নখননকে কেন্দ্র করে প্রকল্প সভাপতি লিটনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি ওই পুকুর পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রাণে রক্ষা পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন লিটন।
অভিযোগে জানা গেছে, খাসমহল গ্রামের মৃত চান্দুর ছেলে আহম্মদ আলী ও তার ভাই মোমিন হেঁসো দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আক্রমণ নিশানা ভুল হলে তারা লিটনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। চাঁদা না দেয়ায় এ হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লিটন। লিটন খাসমহল গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে।
লিটনের অভিযোগে জানা গেছে, ভোরের দিকে নিজবাড়িতে লিটন ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তাকে খবর দেন যে, সরকারি পুকুর পাড়ের বালু কে বা কারা উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে এ সময় তিনি পুকুর পাড়ে আসেন। সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে পুকুরপাড়ে মিয়ারুলের বাড়িতে প্রবেশ করেন লিটন। এ সময় আহম্মদ ও মোমিন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
লিটন জানান, তারা ধারালো হেঁসো দিয়ে কোপ দেয়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। তবে এতেও রেহাই মেলেনি। তারা বাঁশ দিয়ে উপর্যুপরি লিটনের ওপর আক্রমণ করে। পরে আশেপাশের লোকজন প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে লিটনকে উদ্ধারকে চিকিৎসা দেন তার পরিবারের লোকজন।
লিটনের অভিযোগ, আহম্মদ আলীর ফেনসিডিলের চালান প্রশাসনের লোকজন বেরিকেড দিয়ে কেড়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে লিটনের কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এর জের ধরেই হত্যা চেষ্টা।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়, ঘটনার সময় লিটনের প্রাণ ভিক্ষা চায় মিয়ারুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিয়ারুলের দেড় লাখ টাকার গরু জোরপূর্বক নিয়ে যায় আহম্মেদ আলী।
লিটনের অভিযোগ, আহম্মেদ আলী একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদকসহ সে কয়েকজন ধরা পড়েছে। তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মোমিনের নামেও রয়েছে একাধিক মামলা।
লিটন আরও জানান, সম্প্রতি তিনি সরকারি পুকুর খনন করছেন। আট লাখ টাকা ব্যয়ে খননকৃত পুকুরটি হস্তগত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা। তারা ওই পুকুর খননের ছবি ও ভিডিও ধারন করে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিলে প্রশাসন তদন্ত শুরু করেন। বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয়। অবশেষে লিটনকে শায়েস্তা করতে কৌশল বেছে নেন ওই প্রভাবশালীরা। তারা এলাকার পরিচিত মাদক পাচারকারীদেরকে লেলিয়ে দেয়। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আহম্মদ ও মোমিন এ হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।