গাংনীতে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ গ্রেফতার ৯

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ৪জন এবং নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- গাংনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন দেওয়ান (৬২), ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লা (৬০), রাইপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান (৫০), আওয়ামী লীগ কর্মী চাঁদপুর গ্রামের রাশিক আহম্মেদ (২৭) ও আরশেদ আলী (৪২)। গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হচ্ছে- পূর্বমালসাদহ গ্রামের আব্দুল গাফফার (৩৫), একই গ্রামের রকিকুল ইসলাম (২৫), ফতাইপুর গ্রামের জনি (৪২) এবং হেমায়েতপুর গ্রামের হাসেম (৪৫)।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রবের বাড়িতে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করে। সেখানে জয়বাংলার স্লোগানসহ দলীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের ফেসবুক আইডিতে এ অনুষ্ঠানের লাইভ প্রচার করা হলে স্থানীয় রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়াকে নাশকতা এবং শান্তি-শৃংখলায় বিঘœ ঘটোনোর উস্কানি হিসেবেই গ্রহণ করেন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পুলিশের ওপর নানা কর্ণার থেকে রাজনৈতিক চাপ বাড়তে থাকে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় পর্যায় এবং সাধারণ নেতাকর্মীরা বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। দল ও দেশের ক্রান্তিলগ্নে এ ধরনের অনুষ্ঠান আগ বাড়িয়ে বিপদ ডেকে আনা হিসেবেই দেখছেন অনেক নেতাকর্মী। এদিকে সোমবার রাত থেকে শুরু হয় পুলিশের অভিযান। এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মীকে। নাশকতার পরিকল্পনা হিসেবে দেখছে পুলিশ। তাই সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী এবং এর পেছনের কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইল জানান, গ্রেফতার অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকা-ের সাথে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া চার জনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলা মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।