চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে নির্ধারিত রোগীর চেয়ে অতিরিক্ত রোগী
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ১৫০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ডে রেডজোন ও ইয়েলো জোনে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় ওই ভবনে গণটিকা কার্যক্রম ও করোনার স্যাম্পল কালেকশন অন্যত্র সরিয়ে নিতে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল শুক্রবার রেডজোনে ৮৯ জন এবং ইয়েলো জোনে ১০১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, করোনা রোগী ও উপসর্গে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১১ জন মৃত্যুবরণ করছেন। একারণে সদর হাসপাতাল এলাকা মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে। অথচ, করোনা রোগীদের স্যাস্পল কালেকশন ও করোনা গণটিকা একই ভবনে হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁিক অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সেকারণে নবনির্মিত ভবন থেকে অন্যত্র সরিয়ে গণটিকা ও স্যাম্পল কালেকশনের দাবি করেছেন তারা। এছাড়া, করোনা ওয়ার্ডের রোগীদের নির্ধারিত ৮০ জন রোগীর মধ্যে ৫০ জনের খাবার পরিবেশন করছেন হাসপাতালের ঠিকাদার। ওই খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হলেও বাকী রোগীরা হাসপাতালের খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে, বেসরকারিভাবে ব্যক্তি পর্যায়ে রেডজোন ও ইয়েলো জোনে অবশিষ্ট রোগীদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, সদর হাসপাতালে বেসরকারি পর্যায়ে যেসকল অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে সেই গাড়ির চালকেরা সিন্ডিকেট করে হিজলগাড়ি বাজারের ১ হাজার টাকার ভাড়া ৪ হাজার টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে অ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা অটো ভাড়া করে মরদেহ নিজ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটিই আশা করছেন ভুক্তভোগীরা।